চাকরি আছে,কিন্তু মানুষ নেই!
নিউজিল্যান্ডের ছোট একটি শহর কাইতাঙ্গাটা। শহরটিতে থাকার জন্য রয়েছে সাশ্রয়ী মূল্যে বাড়ি ভাড়া আর অসংখ্য চাকরির সুযোগ। চাকরির পরিমাণ এই শহরটিতে এতই বেশি যে, সেগুলো পূরণ করার জন্য পর্যাপ্ত মানুষ পাওয়া যাচ্ছে না। শহরটিতে মোটে আটশ’ লোকের বসবাস।শহরের মানুষের সুযোগ-সুবিধার জন্য শহরটিতে রয়েছে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি বার এবং একটি পিৎজার দোকান। নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ডের মতো শহরে যেখানে বেকারত্বের হার বেশ উচ্চ, বাড়িভাড়াও বেশি। সেখানে কাইতাঙ্গাটায় সম্পূর্ণ উল্টো চিত্র লক্ষ্য করা যায়।
এমন পরিস্থিতিতে এই শহরে মানুষের বসতি বাড়াতে নানা রকম সুযোগ-সুবিধার প্রলোভন দেখানো হচ্ছে। যার মধ্যে রয়েছে চাকরির সুবিধা ও সাশ্রয়ী ভাড়ায় থাকার সুযোগ।
এতে করে সেখানে প্রায় এক হাজার চাকরির সুযোগ তৈরি হয়েছে। কাইতাঙ্গাটা যে জেলার অন্তর্গত তার মেয়র ব্রায়ান ক্যাডোজেন দ্য গার্ডিয়ানকে বলেছেন, ‘আমি যখন বেকার ছিলাম এই শহরের কাছ থেকে আমি অনেক সাহায্য পেয়েছি।
এখন অন্য কারো পরিবার যাদের এরকম সাহায্য প্রয়োজন তাদেরও আমি সাহায্য করতে চাই।’ তিনি আরো বলেন, ‘এই কাইতাঙ্গাটা শহরে এখন তরুণ বেকার ২ জন।
এই শহরে এখন যে চাকরিগুলোর বিজ্ঞাপন সহজেই অনলাইন দেখা যাচ্ছে তার মধ্যে রয়েছে নার্সিং ও সামরিক বাহিনীতে চাকরির বিজ্ঞাপন।’ শুধু এই শহরেই নয়, নিউজিল্যান্ডের প্রত্যন্ত অনেক অঞ্চলগুলোতেই এখন একই রকম সমস্যা দেখা যাচ্ছে। যেখানে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণ চাকরি কিন্তু নেই মানুষ।
কাইতাঙ্গাতার একজন ফার্ম মালিক তার ফার্মের জন্য কিছু কর্মী নিয়োগ দেবেন। কাজের পাশাপাশি থাকবে থাকা-খাওয়ার সুব্যবস্থা।
কিন্তু কাজ থাকলেও মানুষের দেখা মেলে না আদতে। তিনি বলেন, ‘এখানে এসে মানুষ তার স্বপ্ন পূরণ করতে পারবে। পরিবারের খাওয়া পড়ার খরচ অনায়াসে মেটাতে পরাবে।
কিন্তু এখানে আসতে কেউ নাজি নয় কারণ তারা মনে করেন আমরা সেকেলে। তাদের ধারণা আমরা খুবই পুরনো একটি সম্প্রদায়। আমরা কখনোই আমাদের ঘরে তালা দেই না।
আমাদের সন্তানরা এখানে স্বাধীন ও মুক্তভাবে ছোটাছুটি করে। কিন্তু আমাদের এখানে চাকরির সুযোগ আছে, কিন্তু মানুষ নেই।