প্রশ্নটি নতুন নয়। বরং তা নিয়ে প্রচুর তর্ক-বিতর্ক হয়েছে এবং এখনো হচ্ছে। কোন মাদকটি আসলে বেশী ক্ষতিকর, অ্যালকোহল নাকি গাঁজা?
প্রশ্নটির উত্তর আসলে সহজ নয়। কারণ গাঁজা (মারিজুয়ানা বা ক্যানাবিস) এবং অ্যালকোহলের মাঝে সরাসরি তুলনা টানা যায় না। দশকের পর দশক ধরে অ্যালকোহলের প্রভাব নিয়ে গবেষণা হয়েছে। কিন্তু বেশিরভাগ দেশেই গাঁজা অবৈধ বলে তা নিয়ে গবেষণা খুবই কম।
শুধু তাই নয়, “ক্ষতিকর” বা “বিপজ্জনক” বলতে আমরা কী বুঝি সেটাও এক্ষেত্রে ভাবার বিষয়। একটি মাদকের প্রতি কতটা আসক্তি তৈরি হয়, সেটা নিয়ে আমরা কথা বলছি? নাকি এটা শরীরের কতটা ক্ষতি করে তা নিয়ে কথা বলছি? নাকি সমাজের ওপর এই মাদকের প্রভাব নিয়ে চিন্তা করা দরকার? এই সবগুলো ব্যাপার মাথায় রেখে বিবেচনা করতে হবে, এবং তা মোটেই সহজ কাজ নয়।
প্রথমত বলা যায়, অ্যালকোহলের চাইতে গাঁজা অনেক কম আসক্তির সৃষ্টি করে। ৮ হাজার আমেরিকানের ড্রাগ হ্যাবিটের ওপর করা জরিপে দেখা যায়, ১৫ শতাংশ মানুষ অ্যালকোহলে আসক্ত কিন্তু মাত্র ৯ শতাংশ গাঁজায় আসক্ত। এমনকি, যারা তামাক ও গাঁজা একসাথে মিশিয়ে ধূমপান করেন, তারা নিকোটিনের প্রতি বেশী আসক্ত হয়ে যান।
স্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করতে গেলে ব্যাপারটা একটু জটিল। কারণ অনেকটা বিশ্বাস করা হত মুখ থেকে শুরু করে লিভারের ক্যান্সার পর্যন্ত তৈরি করে অ্যালকোহল। অনেকে আবার দাবি করে গাঁজা নাকি ক্যান্সার সারিয়ে তুলতে সক্ষম। কিন্তু গাঁজার এই তথাকথিত ‘উপকারিতা’ আসলে প্রমাণিত নয়।
তবে মাদকের ওপরে কথা সবচাইতে উল্লেখযোগ্য একটি গবেষণা নিঃসন্দেহে অ্যালকোহলকে বেশী ক্ষতিকর বলে চিহ্নিত করে। হেরোইন, কোকেইন এসব কিছুর তুলনায় বেশী ক্ষতিকর ছিল অ্যালকোহল! এই তালিকায় এক নম্বরে ছিল অ্যালকোহল, দুই নম্বরে হেরোইন, তিন নম্বরে কোকেইন। সে তুলনায় গাঁজার অবস্থান ছিল আট নম্বরে।
এছাড়াও সারা বিশ্বের দিকে নজর দিলে দেখা যায়, অ্যালকোহলের কারণে প্রতি বছর ৩৩ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। অন্যভাবে বলতে গেলে, প্রতি ১০ সেকেন্ডে একজন মানুষের মৃত্যুর কারণ অ্যালকোহল। কিন্তু ইতিহাস এবং সামাজিক কিছু কারণে গাঁজা বেশিরভাগ দেশে অবৈধ, কিন্তু অ্যালকোহল বৈধ।
সূত্র: IFLscience
প্রশ্নটির উত্তর আসলে সহজ নয়। কারণ গাঁজা (মারিজুয়ানা বা ক্যানাবিস) এবং অ্যালকোহলের মাঝে সরাসরি তুলনা টানা যায় না। দশকের পর দশক ধরে অ্যালকোহলের প্রভাব নিয়ে গবেষণা হয়েছে। কিন্তু বেশিরভাগ দেশেই গাঁজা অবৈধ বলে তা নিয়ে গবেষণা খুবই কম।
শুধু তাই নয়, “ক্ষতিকর” বা “বিপজ্জনক” বলতে আমরা কী বুঝি সেটাও এক্ষেত্রে ভাবার বিষয়। একটি মাদকের প্রতি কতটা আসক্তি তৈরি হয়, সেটা নিয়ে আমরা কথা বলছি? নাকি এটা শরীরের কতটা ক্ষতি করে তা নিয়ে কথা বলছি? নাকি সমাজের ওপর এই মাদকের প্রভাব নিয়ে চিন্তা করা দরকার? এই সবগুলো ব্যাপার মাথায় রেখে বিবেচনা করতে হবে, এবং তা মোটেই সহজ কাজ নয়।
প্রথমত বলা যায়, অ্যালকোহলের চাইতে গাঁজা অনেক কম আসক্তির সৃষ্টি করে। ৮ হাজার আমেরিকানের ড্রাগ হ্যাবিটের ওপর করা জরিপে দেখা যায়, ১৫ শতাংশ মানুষ অ্যালকোহলে আসক্ত কিন্তু মাত্র ৯ শতাংশ গাঁজায় আসক্ত। এমনকি, যারা তামাক ও গাঁজা একসাথে মিশিয়ে ধূমপান করেন, তারা নিকোটিনের প্রতি বেশী আসক্ত হয়ে যান।
স্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করতে গেলে ব্যাপারটা একটু জটিল। কারণ অনেকটা বিশ্বাস করা হত মুখ থেকে শুরু করে লিভারের ক্যান্সার পর্যন্ত তৈরি করে অ্যালকোহল। অনেকে আবার দাবি করে গাঁজা নাকি ক্যান্সার সারিয়ে তুলতে সক্ষম। কিন্তু গাঁজার এই তথাকথিত ‘উপকারিতা’ আসলে প্রমাণিত নয়।
তবে মাদকের ওপরে কথা সবচাইতে উল্লেখযোগ্য একটি গবেষণা নিঃসন্দেহে অ্যালকোহলকে বেশী ক্ষতিকর বলে চিহ্নিত করে। হেরোইন, কোকেইন এসব কিছুর তুলনায় বেশী ক্ষতিকর ছিল অ্যালকোহল! এই তালিকায় এক নম্বরে ছিল অ্যালকোহল, দুই নম্বরে হেরোইন, তিন নম্বরে কোকেইন। সে তুলনায় গাঁজার অবস্থান ছিল আট নম্বরে।
এছাড়াও সারা বিশ্বের দিকে নজর দিলে দেখা যায়, অ্যালকোহলের কারণে প্রতি বছর ৩৩ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। অন্যভাবে বলতে গেলে, প্রতি ১০ সেকেন্ডে একজন মানুষের মৃত্যুর কারণ অ্যালকোহল। কিন্তু ইতিহাস এবং সামাজিক কিছু কারণে গাঁজা বেশিরভাগ দেশে অবৈধ, কিন্তু অ্যালকোহল বৈধ।
সূত্র: IFLscience
